ইসলাম মোহাম্মদ রবি: ‘আজ সারাবেলা’ ও ‘সুচিন্তা ফাউন্ডেশন’ এর উদ্দ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি’ শীর্ষক মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক কার্যক্রম এক বছর পূর্ণ করলো।
২৭ মার্চ রাজধানীর নর্দান ইউনিভার্সিটিতে প্রায় ২ শতাধিক শিক্ষার্থীদের উপস্থিতিতে এই কার্যক্রম অনুষ্ঠিত হয়।
স্বাধীনতা আন্দোলন, বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের নানা বিষয়ে আলোচনা করেন উপ-উপাচার্য, নর্দান ইউনিভার্সিটি, ড. আনোয়ারুল করিম।
সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের ডিরেক্টর কানতারা খান বলেন, তরুণদের মধ্যে দেশপ্রেম, জাতীয়তাবাদ এবং ইতিবাচক লক্ষে তাদের এগিয়ে দিতে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুর বিকল্প নেই। আমরা মুক্তিযুদ্ধের কথা বলি, দেশের কথা বলি। চাই দেশ এগিয়ে যাক। তাই বছরজুড়ে এই কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি।
নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্টের চেয়ারম্যান, ড. আবু ইউসুফ এম আব্দুল্লাহ বলেন, আমি অবাক হই যখন দেখি আমাদের তরুণদের অনেকেই ভাষা আন্দোলন, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস সব এক সঙ্গে গুলিয়ে ফেলে। দোষটা আমাদেরই, আমরা তাদের কাছে সঠিক ইতিহাস পৌঁছে দিতে পারিনি। ‘আজ সারাবেলা’ ও ‘সুচিন্তা’র এই উদ্দ্যোগ তরুণদের ইতিহাস জানতে ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হতে সহায়তা করবে। বঙ্গবন্ধু না হলে স্বাধীনতা আসত না। বাংলাদেশ হতো না। তাই ইতিহাসভিত্তিক এই অনুষ্ঠানকে সাধুবাদ।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল একুশে পদকপ্রাপ্ত সঙ্গীতশিল্পী খুরশীদ আলম।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে খুব কাছ থেকে দেখার সৌভাগ্য হয়েছিল। তার সবচেয়ে বড় গুণ ছিল অন্যায়ের সঙ্গে আপোষ না করা, জনগণের প্রতি গভীর ভালবাসা এবং অসামান্য তার ব্যক্তিত্ব। সব মিলেয়ে তিনি ছিলেন ক্ষনজন্মা এক মহান মানুষ। বঙ্গবন্ধুর আপোষহীন রাজনৈতিক নেতৃত্বের ফলেই আমরা স্বাধীন দেশ পেয়েছি।
তিনি আরো বলেন, আমি নিজেও কখনও আইয়ুব খানের কাছে, ভুট্টোর কাছে নতি স্বীকার করিনি। হয়তো অনেক কিছু পেতাম। তবে তার চেয়েও বড় জিনিস পেয়েছি তা হলো মানুষের ভালবাসা। পরে শিক্ষার্থীদের অনুরোধে তার জনপ্রিয় গানের মধ্যে থেকে কয়েকটি গানের কলি গেয়ে শোনান খুরশীদ আলম।
অনুষ্ঠানে নর্দান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে খুরশীদ আলমকে ক্রেষ্ট দিয়ে সন্মানিত করেন চেয়ারম্যান ড. আবু ইউসুফ এম আব্দুল্লাহ।
নর্দান ইউনিভার্সিটির উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেনের বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।
পরে ‘আজ সারাবেলা’ ও ‘সুচিন্তা’র পক্ষ থেকে নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ ট্রাস্ট এর চেয়ারম্যান শিক্ষাবিদ ড. আবু ইউসুফ এম আব্দুল্লাহ এর হাতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্তি আত্মজীবনী’ ও সিআরআই প্রকাশিত ‘মুজিব’ সিরিজ গ্রন্থ তুলে দেন কানতারা খান।
অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনা করেন ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক জববার হোসেন।
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই প্রচারভিযানের মিডিয়া পার্টনার ‘দৈনিক খোলা কাগজ’ ও ‘পরিবর্তন ডট কম’।
আয়োজিত কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, নীলসাগর গ্রুপ ও আয়োজন সহযোগী নর্দান ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ।
আজসারাবেলা/সংবাদ/রবি/জাতীয়/মুক্তিযুদ্ধ/রাজধানী