বাদশা ফয়সাল ইনষ্টিটিউটে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি’

0
561

ইসলাম মোহাম্মদ রবি : ‘আজ সারাবেলা’ ও ‘সুচিন্তা ফাউন্ডেশন’ এর উদ্দ্যোগে ‘বঙ্গবন্ধুর গল্প শুনি, মুক্তিযুদ্ধের গল্প বলি’ শীর্ষক বছরব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রচারাভিযানের এবারের কার্যক্রম ছিল রাজধানীর বাদশা ফয়সাল ইনষ্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মাঝে।

পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু করেন স্কুলটির শিক্ষক আব্দুল গাফ্ফার মিঠু। পরে দেশের গান গেয়ে আলোচকদের স্বাগত জানায় ৭ম শ্রেণীর ছাত্র ইমন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত শতাধিক শিক্ষার্থীর মাঝে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাদশা ফয়সাল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, আমার গ্রামের বাড়ি গোপালগঞ্জ হওয়াতে খুব কাছ থেকে দেখেছি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে।

বঙ্গবন্ধুর বিকল্প বঙ্গবন্ধু নিজেই। প্রেসিডেন্ট হবার পরও গরিব দুঃখীদের গায়ের চাঁদর খুলে দিয়েছেন। এমন অনেক নজির রয়েছে তার। বঙ্গবন্ধুর কথা বলে আসলে শেষ করা যাবে না বলে জানান তিনি।

 

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের খাঁটি সোনার দেশ তোমাদেরই গড়তে হবে। সেইভাবে শিক্ষার্থীদের প্রস্তুত হবারও আহবান জানান।

শিক্ষার্থীদের গল্পের মত করে কানতারা খান বলেন, তোমরা নিশ্চয়ই জানো বঙ্গবন্ধুর ডাকনাম ছিল খোকা। খোকা’র জন্ম হয়েছিল ১৯২০ সালের ১৭ই মার্চ গোপালগঞ্জের টুঙ্গীপাড়ায়। ছোটবেলা থেকেই অত্যন্ত বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী ছিলেন খোকা। বঙ্গবন্ধুর ডাক নাম ছিল খোকা। গরিব দুঃখী, অসহায়দের পাশে থেকেছেন, আন্দোলন সংগ্রামে এগিয়ে ছিল স্কুল জীবন থেকেই। সে সময় শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক টুঙ্গিপাড়ার মিশনারী স্কুল পরিদর্শনে যান, ঐ স্কুলে পড়তেন শেখ মুজিবুর রহমান। তখন ছোট্ট খোকা ফজলুল হক’কে সবার সামনে গিয়ে বলেছিলেন, আমার স্কুলের ছাদ ভাঙা এটি মেরামত করা প্রয়োজন এ ব্যাপারে আপনি ব্যবস্থা নিন।

এ থেকেই বোঝা যায় বঙ্গবন্ধু ছোটবেলা থেকেই সৎ সাহসী, ছিলেন অধিকার আদায়ে সোচ্চার। শুধু নিজের নয়, পূর্ব বাংলার মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে নানা আন্দোলন সংগ্রামে তাকে প্রায় ১৪ বছর জেলখানায় কাটাতে হয়েছে। তারপরও তাকে দমাতে পারেনি তৎকালীন পাকিস্তান সরকার, এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, মুক্ত করেছেন বাঙালিদের পরাধীনতার গ্লানি থেকে।

কানতারা খান আরও বলেন, তৎকালীন সময়ে সকল সুবিধা ভোগ করত পশ্চিম পাকিস্তানিরা। সে সময়ের পূর্ব পাকিস্তান তথা আমাদের উৎপাদিত পাট রপ্তানি হত, সে টাকা ভোগ করত পশ্চিম পাকিস্তান। ভাল স্কুল, কলেজে তারা পড়ত, আমাদের সে সুযোগ ছিল না। রাষ্ট্রের সকল সুযোগ-সুবিধা তাদের, আর বঞ্চিত আমরা। পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অধিকার আদায়ের নানা আন্দোলনের জন্য তাকে কারাগারে যেতে হত। তার আন্দোলনের ফসল একটি স্বাধীন রাষ্ট্র, দেশ যার নাম বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠান শেষে ‘আজ সারাবেলা’র পক্ষ থেকে বাদশা ফয়সাল স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলামের হাতে ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ও সিআরআই থেকে প্রকাশিত তিন পর্বের কমিক নভেল ‘মুজিব’ তুলে দেন কানতারা খান।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘আজ সারাবেলা’র সম্পাদক জববার হোসেন। সমন্বয়ক ছিলেন রবিউল ইসলাম রবি ও সহ-সমন্বয়ক সিদ্দিক আশিক।

মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক এই প্রচারভিযানের মিডিয়া পার্টনার ‘দৈনিক খোলা কাগজ’ ও ‘পরিবর্তন ডট কম’।
আয়োজিত কার্যক্রমের সার্বিক সহযোগিতায় ছিল ইউনিভার্সাল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এবং নীলসাগর গ্রুপ।

আজসারাবেলা/সংবাদ/তারেক/জাতীয়/মুকিতযুদ্ধ